ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

দারিদ্র হ্রাসে শ্রমিকদের দিতে হবে ‘মালিকানা’ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২২:০৮, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

দেশের দারিদ্র হ্রাসে উৎপাদনে নিয়োজিত থাকা শ্রমিকদের মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে। গ্রামীন পর্যায় থেকে শুরু করে রাজধানীতেও এ মডেল অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমনটি করেছে পার্শবর্তী দেশ ভারতের আমুল ডেইরী ফার্ম। 

আজ রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।  

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)`র চেয়ারম্যান প্রফেসর রেহমান সোবহান এর লেখা `চ্যালেঞ্জিং ইনজাস্টিস ইন সাউথ এশিয়া, এ ওয়ার্ক প্রোগ্রাম ফর প্রোমোটিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট` বইয়ের ওপর আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়।

রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, সিপিডির সম্মানিত ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহম্মেদ, প্রফেসর ড. এম এম আকাশ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমূখ।

আলোচনার শুরুতে রেহমান সোবহান ভারতের আমুল ডেইরি ফার্মকে মডেল হিসেবে উদাহরণ টেনে বলেন, কারখানাটিতে নিয়োজিত শ্রমিকদেরও কারখানার মালিকানা বা শেয়ার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে কারখানার উৎপাদন বেড়েছে, আবার শ্রমিকদেরও ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে। সার্বিকভাবে দারিদ্রও কমেছে। ভারতের এ মডেল বাংলাদেশেও বাস্তবায়ন করা যায় কী না? তাদের মতো শ্রমিকদের মালিকত্ব দিলেই দারিদ্র হ্রাস হতে পারে।

আলোচনায় মশিউর রহমান বলেন, শ্রমিক উন্নয়নে আমাদের বাজেটকে তিন স্তরের করতে হবে, কখন কোন কাজ সম্পন্ন হবে তার পরিকল্পনা থাকতে হবে। আমাদের অর্থমন্ত্রী যে বাজেট ঘোষণা করে তা মনে হয় পৃথীবির সবচেয়ে দীর্ঘ বাজেট। বাজেট শুধু দীর্ঘ হলে হবে না, তাতে সময়পোযোগি কার্য সম্পাদনের পরিকল্পনা থাকতে হবে। গ্রমীন উন্নয়নে যথেষ্ঠ বরাদ্দ থাকতে হবে।

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরসহ সব সেক্টরে শ্রমিকদের মালিকানা বা শেয়ার নিশ্চিত করতে পারলে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হতো। দারিদ্র কমে যেত। দেশের ৯০ ভাগ গ্রামীন মানুষকে শুধু শ্রমিকের জায়গাতে নয়, মালিকের জায়গাতেও আসার সুযোগ থাকলে এটা সম্ভব হতো।

মুস্তাফিজুর রহমান তার বক্তব্য বলেন, দারিদ্র হ্রাসে দরিদ্র শ্রেণিকে বৈষম্যের গণ্ডি থেকে বের করে আনতে হবে। তাদেরও মালিকানায় সুযোগ দিতে হবে।

সালেহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে রেগুলেটরি বডিকে শক্ত অবস্থানে নিতে হবে। যেমন ব্যাংকিং খাতের যে বৈষম্য আছে তা বাংলাদেশ ব্যাংক লাঘব করতে পারে। কর্মচারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে।

এম এম আকাশ বলেন, আমাদের প্রকৃত উন্নয়ন আসতে হবে গ্রামীন থেকে। কৃষকদের থেকে। আর তার জন্য কৃষকদের সুযোগ- সুবিধা বাড়াতে হবে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমি সংস্কারের পক্ষে, সংস্কারবাদীর পক্ষে নয়, আমি এতো ভিশন ২০২১, ২০৪১ দেখতে চাই না। আমি চাই বঙ্গবন্ধুর ভিশন ১৯৭১ বাস্তবায়ন হোক। চালের দাম যেন ফসল ওঠার আগে না বাড়ে।

এসি/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি